সীমান্তে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ইয়াবাসহ ১জন আসামী আটক এবং ফেন্সিডিল ও ইস্কাফ সিরাপ জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান চোরাচালান ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন বিওপির বিশেষ টহলদল ২টি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১জন আসামী এবং ফেন্সিডিল ও ইস্কাফ সিরাপ জব্দ করেছে। চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক বিরোধী অভিযানে বিজিবি’র দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে বিজিবি জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার করবে। উক্ত তথ্যানুযায়ী, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টায় রামখানা বিওপি’র আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার নাগেস্বরী থানার ত্রিমোহোনী নামক স্থানে বিজিবি’র টহলদল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালীন সন্দেহজনক ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করে বিজিবি টহলদল তাকে চ্যালেঞ্জ করলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার শিংঝাড় গ্রামের মোঃ জিয়াউর রহমানের ছেলে মোঃ তারেক হোসেন (১৮)-কে ৯৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১১টা ৫মিনিটে অনন্তপুর বিওপি’র আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার কদমতলা এলাকায় টহলদল একজন চোরাকারবারীকে মোটর সাইকেল যোগে আসতে দেখে টহলদল তাকে চ্যালেঞ্জ করলে সে মোটর সাইকেল ফেলে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। উক্ত মোটর সাইকেল তল্লাশী করে ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ ৬টি বোতল এবং ভারতীয় ফিন্সিডিল ১৪টি বোতলসহ ১টি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ভারতীয় ইয়াবা ৯৮ পিস, যার সিজার মূল্য ২৯হাজার ৪শত টাকা, ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ ৮টি বোতল, যার সিজার মুল্য ২হাজার ৪শত টাকা ভারতীয় ফেন্সিডিল ১৪টি বোতল, যার সিজার মূল্য ৫হাজার ৬শত টাকা এবং মোটর সাইকেল ১টি যার সিজার মূল্য ১লক্ষ ৫০হাজার টাকাসহ সর্বমোট সিজার মূল্য ১লক্ষ ৮৭হাজার ৪শত টাকা। এ ঘটনায় আটকৃত আসামীর বিরুদ্ধে ভুরুঙ্গামারী থানায় মামলা দায়েরপূর্বক মাদকদ্রব্যসহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া মাদক সংশ্লিষ্ঠ অন্যান্য চোরাকারবারীদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, দেশের যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। মাদক পাচার রোধে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে বিজিবি’র গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া তিনি স্থানীয় জনগণকে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দেন।
এই অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার দাবিদার, যা মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।